প্রকাশিত: ১৪/০১/২০১৭ ১০:৪৫ এএম

নিউজ ডেস্ক::
চট্টগ্রাম নগরী থেকে চুরি যাওয়ার ১৭ দিন পর তিন বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাকে এক লাখ টাকায় বেচে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার আহসান হাবিব নামে এ শিশুটিকে নোয়াখালি, কুমিল্লা, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও টানা ২৭ ঘন্টা টানা অভিযান চালিয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ সময় অপরহণের জড়িত দুই নারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা হলো নোয়াখালির মাইজদীর আশেকুর রহমান খোকা (৩৮), হাটহাজারীর সিএনজি চালক সিরাজ ড্রাইভার, ফটিকছড়ির দোলন শীল ও রেখা শীল রাউজানের নীলিমা শীল।
আহসানের মা হালিমা আকতার রেখা। তিনি যখন দুই মাসের গর্ভবতী তখনি স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি। স্বামী চলে যান বরিশালে। রেখা থেকে যান চট্টগ্রামে। কখনো ভিক্ষা আবার কখনো গৃহকর্মীর কাজ করে মা-ছেলের কেটেছে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময়। মাস দুয়েক আগে পরিচয় হয় নোয়াখালীর সুধারাম থানার দেবিপুর-নেওয়াজপুরের আকাশের রহমান খোকার সঙ্গে।
আকাশ প্রেমের অভিনয় করে। একপর্যায়ে বিয়ের পাকা কথা দিয়ে চান্দগাঁও ফরিদের পাড়ার খলিল মাস্টারের বাড়িতে ঘরভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো সংসার শুরু করেন। এদিকে রেখা চাপ দিতে থাকেন বিয়ের। একপর্যায়ে ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর নিরুদ্দেশ হয়ে যান আকাশ।
চান্দগাঁও থানায় অপহৃত শিশু আহসান হাবিবের মা হালিমা আকতার রেখা জানান, আকাশ তাকে বিয়ের আশ্বাস এবং সন্তানকে মানুষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানার শমসেরপাড়া এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। এরই মধ্যে আশেকের কামাল গত বছরের ২৭ডিসেম্বর স্থানীয় মাঠে খেলার কথা বলে শিশু আহসান হাবিবকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
একমাত্র শিশু সন্তানকে হারিয়ে নি:সঙ্গ হয়ে পড়েন রেখা। পরে কথিত স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলে ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়া অনুরোধ জানিয়েও ব্যর্থ হন রেখা।
শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে গত ৬ চান্দগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।
চান্দগাও থানার এস আই মো. কাদের জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে রেখার কথিত স্বামী এবং অপহরণকারী আশেকুর রহমানকে আটক করি। জানতে পারি সিরাজ ড্রাইভারের কাছে একলাখ টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছে। আমরা পরে অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী থেকে সিরাজ ড্রাইভারকে আটকের সে জানায় শিশুটি সে ফটিকছড়িতে বিক্রি করে দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে ফটিকছড়ির থেকে দোলন শীল ও তার ভাবী রেখা শীলকে আটক করি। এবং এ দুজন জানায় তারা রাউজানের নীলা শীল নামে এক নিকট আত্মীয়ের জন্য শিশুটি কিনেছিল। পরে রাউজানে অভিযান চালিয়ে শিশু আহসান হাবিবকে উদ্ধার এবং নীলা শীলকে গ্রেফতার করা হয়।
এস আই কাদের জানান, ২৭ ঘন্টার টানা এ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন চান্দগাঁও থানায় নতুন যোগদেয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। সহযোগিতা করেন এস আই জিয়াউল হুদা।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

মা ও মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নুরুন্নাহার বেগম ৪৪ ...

আরাকান বিদ্রোহীর গুলিতে বাংলাদেশী যুবকের মৃ’ত্যু

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ...